‘অর্ডার অব বৃটিশ এম্পায়ার’ পেলেন বাংলাদেশি উদ্যোক্তা

তরুণ এবং প্রতিভাবান বাংলাদেশি উদ্যোক্তা শেখ আলিউর রহমানকে ‘অর্ডার অব বৃটিশ এম্পায়ার’ দিয়েছেন বৃটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস। বৃটিশ সরকারের ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের প্রথম ‘নিউ ইয়ার অনার্স লিস্টে’ তার নাম প্রকাশিত হয়েছে। তরুণ প্রজন্ম ও চা শিল্পে অবদান রাখায় তাকে এই সম্মান দেয়া হয়েছে। ২০২২ সালের ৩০শে ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
আলিউর রহমান 'লন্ডন টি এক্সচেঞ্জের' প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি বলেন, রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে ‘অর্ডার অব বৃটিশ এম্পায়ার’ পেয়ে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমি আমার চারপাশে অনেকের কাছে ঋণী যারা আমাকে বছরের পর বছর ধরে সমর্থন দিয়ে এসেছেন। আমার পরিবার এবং আপনারা যারা আমার পাশে ছিলেন, আপনাদের উৎসাহ, বন্ধুত্ব এবং সমর্থনের জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।
তার শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমার মনে আছে বড় হওয়া কতটা কঠিন ছিল এবং এ কারণে আমি প্যাচওয়ার্ক ফাউন্ডেশন, ক্যাপিটাল কিডস ক্রিকেট এবং বৃটিশ বাংলাদেশ ফ্যাশন কাউন্সিল সহ অনেক দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে তরুণদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। তিনি আরও বলেন, চা শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন পেতে সাহায্য করার জন্য আমি যে প্রচার চালিয়েছি তা আপনাদের অনেকেই জানেন। চা শিল্পে ১২০ মিলিয়নেরও বেশি লোক কাজ করে যাদের অধিকাংশই নারী। আমি আমার সম্মান তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই।
তারা বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর পরিশ্রমী মানুষ অথচ এখনো দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে।
তার ভবিষ্যৎ কাজের রূপরেখা নিয়ে তিনি বলেন, এটা আমাদের প্রজন্মের ওপর নির্ভর করে যারা মানুষের দুর্দশার কথা তুলে ধরতে পারে। আমি আশা করি, আপনারা সবাই এই ন্যায্য বেতনের প্রচারে এবং বিশ্বব্যাপী একটি ন্যায্য সমাজ গড়তে আমার সঙ্গে যোগ দেবেন। তিনি নেলসন ম্যান্ডেলাকে উদ্ধৃত করে বলেন, যতদিন আমাদের পৃথিবীতে দারিদ্র্য, অবিচার এবং বৈষম্য থাকবে, আমরা কেউই বিশ্রাম নিতে পারব না।
শেখ আলিউর রহমান একসময় একটি নেতৃস্থানীয় বিনিয়োগ কোম্পানিতে কাজ করতেন। তারই অংশ হিসেবে তাকে ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ায় ব্যাপকভাবে ভ্রমণ করতে হয়েছে। এই ভ্রমণের সময়েই চায়ের প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি। এরপর ২০০৩ সালে তিনি লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন এবং বিশ্বের কিছু দুর্লভ চা সংগ্রহে ব্যাপক সময় বিনিয়োগ করেন। আজ লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ বিশ্বের বিরল এবং প্রিমিয়াম চায়ের বৃহত্তম সংগ্রহগুলির মধ্যে একটি। সারা বিশ্ব থেকে চা অনুরাগী এবং সংগ্রাহকদের মধ্যে এটি বিখ্যাত।বৃটেনে জন্মগ্রহণকারী আলিউর রহমানের পিতা-মাতা বাংলাদেশের সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার উত্তর ধর্মদা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বিবাহিত এবং তার একটি ছেলে ও দু’টি মেয়ে আছে। তিনি বর্তমানে তার পরিবারের সঙ্গে লন্ডন বরো অব টাওয়ার হ্যামলেটে বসবাস করছেন।
বিটি/আরকে
Comment / Reply From
You May Also Like
নতুন সংবাদ
পড়ে দেখুন
Vote / Poll
ঈদযাত্রায় এবছর যানজট অনেকটা কম হবার কারণ কী বলে মনে করেন?