স্থানীয় পর্যটন শিল্পে কর কমানোর আহ্বান
স্থানীয় পর্যটন শিল্পের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমানোর দাবি জানিয়েছেন হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্তরাঁ মালিকরা। করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠে আরও উন্নতি করার লক্ষ্যেই এই আহ্বান তাদের।
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে স্থানীয় শুল্ক কাঠামোর তুলনা করে ব্যবসায়ীরা বলেন, ভ্যাট এবং আয়কর ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে পর্যটন খাতের খরচ অনেক বেশি।
বুধবার (২ নভেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইউনিক হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নূর আলী বলেন, "ভারতে হোটেল নির্মাণের পর, তাদের বিনিয়োগ উঠে আসা পর্যন্ত শূন্য শুল্ক সুবিধা ভোগ করে।"
ভারত গত ২০ বছর এই নীতি অনুসরণ করায় সেখানে অসংখ্য হোটেল নির্মাণ হয়েছে দাবি করে নূর আলী বলেন, "আমাদের এখানে যে অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে শুধু মিলাদ পড়ানোর জন্যই আমরা হোটেল দিয়েছি। ভ্যাট-ট্যাক্সের কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছি না।"
গোল্ডেন টিউলিপ হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালেদ উর রহমান বলেন, মহামারি চলাকালীন রেস্তোরাঁর ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছিল। আমরা এখনো ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারিনি, এরমধ্যে আবারও তা ১৫ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ৩৫ শতাংশ ইনকাম ট্যাক্স তো আছেই।"
অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর হাতে 'সাউথ এশিয়ান ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস' তুলে দেয় অ্যাসোসিয়েশন। এ বছর 'ইমার্জিং ডেস্টিনেশন অ্যাওয়ার্ড ভিজিটরস চয়েস' ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশ।
এদিকে হোটেল মালিকরা জানান, করোনাকালে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ডাক্তার-নার্সরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্বাবধানে বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করেছিলেন। সে সময়ের ২২ কোটি টাকার বিল এখনো হাসপাতালগুলোর কাছে আটকে আছে।
এ বিষয়ে তারা প্রতিমন্ত্রীকে তড়িৎ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
এছাড়া, বিমান ভাড়া এবং জটিল ভিসা প্রক্রিয়ার কারণে বিদেশি পর্যটক কমে যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তারা।
বিটি/ আরকে
Comment / Reply From
You May Also Like
নতুন সংবাদ
পড়ে দেখুন
Vote / Poll
ঈদযাত্রায় এবছর যানজট অনেকটা কম হবার কারণ কী বলে মনে করেন?