রফতানি সম্প্রসারণ ও পণ্যের বহুমুখীকরণের তাগিদ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর

সরকার দক্ষ, স্মার্ট ও প্রতিযোগিতা সক্ষম একটি বস্ত্র ও পোশাক খাত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। একই সঙ্গে মন্ত্রী পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের নতুন নতুন পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, বহুমুখীকরণ করে রফতানির বাজার সম্প্রসারণের তাগিদ দেন।
গতকাল পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে ‘২২তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০২৩ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো’, ‘২০তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফ্যাব্রিক শো’ এবং ‘৪২তম ডাই+ক্যাম বাংলাদেশ ২০২৩ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো’ সিরিজ অব এক্সিবিশনের বাংলাদেশ সংস্করণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এএইচএম আহসান, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতি. সচিব) মো. নূরুজ্জামান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের নীতি, আইন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আনয়ারুল আলম। অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ধরনের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে জানিয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী আরো বলেন ‘এরই মধ্যে, সরকার ‘বস্ত্র আইন, ২০১৮’ অনুযায়ী বস্ত্র খাতের সব অংশীজনকে নীতিসহায়তা প্রদান করছে। এ ধরনের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীগুলোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের বস্ত্র খাত আরো আধুনিক, উন্নত ও স্মার্ট হিসেবে গড়ে উঠতে সক্ষম হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার সর্বদা ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে উদার ব্যবসায়িক নীতি অনুসরণ করছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, বন্দর সুবিধা উন্নতকরণ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিশ্চিতকরণে কাজ করছে। দেশের মানুষ তার সুফল এরই মধ্যে ভোগ করছে।’
আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজক সংস্থা সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন ইসলাম বলেন, ‘এ তিনটি প্রদর্শনী বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্পের সর্ববৃহৎ এবং সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী, যা এ বছর ২২ বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি ক্রেতা এবং সরবরাহকারীদের জন্য বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সবচেয়ে বড় মিটিং প্লেস, যেখানে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে ক্রেতা এবং সরবরাহকারীরা ব্যবসার প্রসারে কাজ করতে পারবেন।’
আয়োজকদের তথ্যানুযায়ী, এ প্রদর্শনীতে ২ হাজার ২৪৫-এর অধিক বুথসহ ৩৭টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৬৭৫টিরও বেশি কোম্পানি প্রতিনিধিত্ব করছে।
Comment / Reply From
You May Also Like
নতুন সংবাদ
পড়ে দেখুন
Vote / Poll
ঈদযাত্রায় এবছর যানজট অনেকটা কম হবার কারণ কী বলে মনে করেন?