যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলারেট এনার্জির সঙ্গে এলএনজি বিক্রয়-ক্রয় চুক্তি সই

যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট গ্যাস মার্কেটিং লিমিটেড পার্টনারশিপ (ইজিএমএলপি) থেকে ১৫ বছর মেয়াদে এলএনজি আমদানির জন্য চুক্তি সই করেছে পেট্রোবাংলা। চুক্তি অনুযায়ী জানুয়ারি ২০২৬ থেকে তারা এলএনজি সরবরাহ করবে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে পেট্রোবাংলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলারেট এনার্জির মধ্যে এই দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি বিক্রয়-ক্রয়, এলএনজি সম্প্রসারণ এবং পায়রা টার্মশিট চুক্তি সই হয়েছে।
চুক্তিতে পেট্রোবাংলার বোর্ড সচিব রুচিরা ইসলাম এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলারেট এনার্জি কোম্পানির এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট র্যামন ওয়াংদি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিগত ৩ বছরে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশকে শুধু জ্বালানি খাতেই অতিরিক্ত ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে। আমাদের অর্জনগুলো সুসংগঠিত করতে পারলে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। জ্বালানির বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সৌর বিদ্যুৎ থেকে ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জ্বালানির উন্নয়ন ও জ্বালানি সহযোগিতা পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্মল মডিউলার রিয়েকটর বাংলাদেশের জন্য কার্যকর হতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের যথাযথ বিকাশের জন্য আগামী ১০ বছরে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। প্রযুক্তিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। বিশাল বিনিয়োগের সুযোগ হবে। গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান কাজেও ব্যাপক বিনিয়োগ আসবে। বিশ্বের নামিদামি কোম্পানিগুলোর আগ্রহ ব্যাপক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি লক্ষণীয়। বার্ষিক কর্মসম্পাদন বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখায়। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। এখন সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছানোই একটি চ্যালেঞ্জ।
প্রসঙ্গত, দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে এলএনজি আমদানি এবং রিগ্যাসিফিকেশনের মাধ্যমে গত আগস্ট-২০১৮ মাসে সর্বপ্রথম জাতীয় গ্যাস গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হয়। দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে এলএনজি সরবরাহে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান হতে এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে একটি স্ট্যান্ডার্ড এসপিএ (ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি) প্রস্তুত করা হয়েছে। মহেশখালীতে এক্সিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড এবং সামিট স্থাপিত দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে এলএনজি সরবরাহের কাজ করা হচ্ছে।
Comment / Reply From
You May Also Like
নতুন সংবাদ
পড়ে দেখুন
Vote / Poll
ঈদযাত্রায় এবছর যানজট অনেকটা কম হবার কারণ কী বলে মনে করেন?