Dark Mode
Saturday, 02 November 2024
Logo

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর ৫ উপায়

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর ৫ উপায়

মস্তিষ্ক মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। মস্তিষ্ক আমাদের বুদ্ধিমত্তার উৎস। আমাদের সমস্ত স্মৃতি মস্তিষ্ক ধারণ করে রাখে। মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রকম চেষ্টা করেন। দেখা যায়, মায়েরা ছোটবেলা থেকে সন্তানদের স্মৃতিশক্তি ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য শিশুর খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখেন। তবে শুধু খাবারই নয়, অন্য উপায়েও আপনি বাড়াতে পারেন মস্তিষ্কের ক্ষমতা।


বলা হয়, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তি তৈরির ক্ষমতা, দ্রুত জবাব তৈরির মতো মানসিক ক্ষমতা কমতে থাকে। কিন্তু এই ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়লেও নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। সহজ কিছু কায়দাকানুনের মাধ্যমে মগজের শক্তি বাড়ানো যায়:


মস্তিষ্কের ব্যায়াম
শরীরচর্চা করলে দেহের পেশির সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের আকারও বৃদ্ধি পায়। ব্যায়ামের কারণে মস্তিষ্কের সাইন্যাপসিস বা যে অংশে দু'টি কোষের নিউরনের মধ্যে স্নায়বিক বৈদ্যুতিক স্পন্দন আদান-প্রদান ঘটে তা বেড়ে যায়। এর ফলে মগজে নতুন নতুন কোষ তৈরি হয়। আর কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়ামের ফলে মগজে বেশি হারে অক্সিজেন এবং গ্লুকোজ সরবরাহ হয় আর যদি বাসার বাইরে বা খোলা জায়গায় শরীর চর্চা করতে পারেন তাহলে সেটি আরও বেশি ভালো। কারণ এতে করে আপনি বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি শোষণ করতে পারবেন।  


এছাড়াও, শরীরচর্চার পাশাপাশি নতুন জায়গায় বেড়াতে যান, নতুন ধরনের কাজ শুরু করুন। অথবা নতুন কোন আইডিয়া নিয়ে কাজ করুন। যেমন, যদি আপনার শখ হয় বাগান করা, তাহলে আরো কিছু বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বাগান করুন। পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগলে, সঙ্গে যাওয়ার সঙ্গী খুঁজে বের করুন। কোন কিছু শেয়ার করার ইচ্ছা বা ভাগাভাগি করার ইচ্ছা মস্তিষ্কে সামাজিক মিথষ্ক্রিয়া ও ব্যায়ামের উপকারিতা বাড়িয়ে দেয়। 

 

সঠিক খাবার নির্ধারণ 
আমাদের খাবারের ২০% শর্করা এবং শক্তি আপনার মস্তিষ্কে যায়। এ কারণে আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নির্ভর করে দেহের গ্লুকোজের পরিমাণের ওপর। শরীরে গ্লুকোজের মাত্রায় হেরফের হলে মনেও দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। আমরা যখন পছন্দের খাবার খাই তখন আমাদের মস্তিষ্কে 'ডোপামিন' নামে এক ধরনের রাসায়নিক নির্গত হয়। এর কারণে আমরা খাওয়ার সময় শান্তি অনুভব করি। কিন্তু মস্তিষ্কের শক্তিবৃদ্ধির পাশাপাশি আপনার পেটের দিকেও নজর রাখতে হবে। মানুষের দেহের পরিপাকতন্ত্রে একশো ট্রিলিয়নেরও বেশি অণুজীব বসবাস করে। এরা আপনার মস্তিষ্কের সঙ্গেও সংযোগ রক্ষা করে। মগজের সুস্থতার জন্য এই অণুজীবগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা খুব জরুরি। পাকস্থলীকে বলা যায় ‘দ্বিতীয় মস্তিষ্ক’। 


ব্যস্ততা থেকে অবসর নিন 
স্বল্প মাত্রার মানসিক চাপ স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এতে বিপদের সময় বা জরুরি প্রয়োজনে পরিস্থিতিকে দ্রুত মোকাবেলার শক্তি পাওয়া যায়। কএটি কর্টিসল নামে এক ধরনের হরমোনের নিঃসরণকে সহায়তা করে যা সাময়িকভাবে আমাদেরকে উজ্জীবিত করে এবং কোনও কিছুর ওপর মনোযোগ দিতে সাহায্য করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ মস্তিষ্কের জন্য খারাপ প্রভাব ফেলে। সুতরাং, কাজের ফাঁকে অবসরের সময় বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


যদি আপনার সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং মস্তিষ্ককে শান্ত করাটা কঠিন মনে হয়, তাহলে যোগব্যায়াম কিংবা মাইন্ডফুলনেস চর্চার সাহায্য নিতে পারেন। এগুলো আপনার দেহের স্ট্রেস হরমোন কমাতে সাহায্য করবে।


নতুন কিছু করার চেষ্টা 
মগজের শক্তি বৃদ্ধির একটা পথ হলও নতুন কোন কাজ করার জন্য মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করা। ছবি আঁকা কিংবা বিদেশি ভাষা শিক্ষার মধ্য দিয়ে এটা করা সম্ভব। নিজে কিংবা বন্ধুদের সাথে নিয়ে অনলাইন গেমস খেলতে পারেন। শুধু নিজেকে চ্যালেঞ্জ করাই না, এর মধ্য দিয়ে অন্যদের সাথে সামাজিক যোগাযোগও বাড়ে।


গান শোনা 
সঙ্গীত যে মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করতে পারে, তার প্রমাণ রয়েছে। কেউ গান শোনার সময় যদি তার মস্তিষ্কের ছবি তোলা যায়, তাহলে দেখা যাবে পুরো মস্তিষ্ক সুরের প্রভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মস্তিষ্ক সঙ্গীতের স্মৃতি দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত রোগীরাও সবার শেষে যা ভুলে যায় তা হচ্ছে গান। তাই নিজে গান করুন বা গান শুনুন।

 

Comment / Reply From

Stay Connected

Vote / Poll

ঈদযাত্রায় এবছর যানজট অনেকটা কম হবার কারণ কী বলে মনে করেন?

View Results
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথাযথ পদক্ষেপ
0%
যথাসময়ে সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ
100%
যানজট এখনও রয়েই গেছে
0%
21313