বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে স্থবিরতা

সবশেষ বৈঠকে সুদের হার বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। সেই সঙ্গে কঠোর মুদ্রানীতি থেকে সরে আসার সংকেত দিয়েছে তারা।
ইতোমধ্যে আরেকটি মার্কিন আঞ্চলিক ব্যাংকে ধস নামার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজার স্থবির হয়ে পড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
তাতে বলা হয়, গত মার্চে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক এবং সিগনেচার ব্যাংক। সেই রেশ না কাটিয়ে উঠতেই সম্প্রতি ফার্স্ট রিপাবলিকান ব্যাংকে ধস নেমেছে।
এবার প্যাকওয়েস্ট ব্যানকর্পে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা। ব্যাংক নিয়ন্ত্রকরা আশ্বাস দিলেও আশ্বস্ত হতে পারছেন না তারা।
সবশেষ ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদহার বাড়িয়েছে ফেড। এতে তেলের বিশ্ববাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। জ্বালানি পণ্যটির দাম ১৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে।
কঠোর মুদ্রানীতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছে ফেড। এজন্য ব্যাংকিং খাত, ঋণ পরিস্থিতি এবং মূল্যস্ফীতির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন মার্কিন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা। এরপরই সুদের হার বাড়ানো কিংবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
এমন প্রেক্ষাপটে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলারের অবমূল্যায়ন ঘটেছে। সেই সঙ্গে ইউএস ট্রেজারি ইল্ড নিম্নমুখী হয়েছে।
অকল্যান্ডভিত্তিক সিএমসি মার্কেটসের বাজার বিশ্লেষক টিনা টেঙ বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতি ইতিবাচক নয়। বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিং খাতে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
জাপানের বাইরে এশিয়া-প্যাসিফিক শেয়ারের এমএসসিআইয়ের বৃহৎ সূচক অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশটিতে সরকারি ছুটিতে যা কম ব্যবসা করেছিল।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) কার্যদিবসের শুরুতে চীনের বেঞ্চমার্ক সূচক দুর্বল হয়েছে। গত এপ্রিলে সিএআইএক্সআইএন/এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজার্স সূচক (পিএমআই) নিম্নমুখী রয়েছে।
এসঅ্যান্ডপি ৫০০ পতন ঘটেছে শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ। মার্কিন আঞ্চলিক ব্যাংকগুলোর শেয়ার মূল্য কমেছে। প্যাকওয়েস্টের হ্রাস পেয়েছে ৬০ শতাংশ।
এখন ফেড সুদের হার আরও সময় ধরে বাড়িয়ে যায় কিনা, তা দেখার বিষয়। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী জুলাইয়ে সেটা বন্ধ করতে পারে তারা।
বিটি/ আরকে
Comment / Reply From
You May Also Like
নতুন সংবাদ
পড়ে দেখুন
Vote / Poll
ঈদযাত্রায় এবছর যানজট অনেকটা কম হবার কারণ কী বলে মনে করেন?