ফুলকপি খাওয়ার ৬ উপকারিতা

শীতের তরতাজা ফুলকপি উঠে গেছে বাজারে। পুষ্টিগুণে ভরপুর শীতের সবজিটি নিয়মিত রাখা চাই পাতে। কারণ ফুলকপি খেলে অনেক ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। হৃদরোগ, ক্যানসারসহ জটিল কিছু রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে ফুলকপিতে থাকা খনিজ।
ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম অথচ বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ ফুলকপি। ১ কাপ ফুলকপিতে মেলে ২৭ ক্যালোরি ও ২ গ্রাম ফাইবার। পাশাপাশি দৈনন্দিন চাহিদার ৫৮ শতাংশ ভিটামিন সি, ১৪ শতাংশ ভিটামিন কে, ১২ শতাংশ ভিটামিন বি৬, ১৫ সত্নাগস ফোলেট, ১৪ শতাংশ প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ৭ শতাংশ পটাসিয়াম, ৯ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ, ৪ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম ও ৪ শতাংশ ফসফরাস মেলে ১ কাপ ফুলকপি থেকে।
ফুলকপি খাওয়ার উপকারিতা
১.ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক ফাইবার। এছাড়া বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে উপাদানটি।
২.ফুলকপি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা প্রদাহ কমাতে এবং বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য উপকারী।
৩.ফুলকপির অনেক পুষ্টি উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এগুলো ক্যানসারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। বিশেষ করে ফুলকপিতে আয়োডিন-৩-কারবিনল নামক যৌগ থাকে। গবেষণা বলছে, ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধি ও টিউমার গঠনে বাধা দেয় উপাদানটি। ফুলকপিতে গ্লুকোসিনোলেটস নামে পদার্থের একটি গ্রুপ রয়েছে। এটি হজম করার সাথে সাথে পদার্থগুলো ভেঙে যায় যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। এরা কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
৪.ফুলকপিতে থাকা সালফোরাফেন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি ধমনীতে চর্বি জমা প্রতিরোধ করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এই উপাদান। ফুলকপির খাদ্যতালিকাগত ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে ভূমিকা রাখে।
৫.ফুলকপিতে ক্যালোরি কম কিন্তু ফাইবার এবং পানির পরিমাণ বেশি। এসব বৈশিষ্ট্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
৬.ফুলকপি কোলিনের একটি ভালো উৎস। এই পুষ্টি উপাদান শরীরের অনেক প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
Comment / Reply From
You May Also Like
নতুন সংবাদ
পড়ে দেখুন
Vote / Poll
ঈদযাত্রায় এবছর যানজট অনেকটা কম হবার কারণ কী বলে মনে করেন?