Dark Mode
Friday, 01 December 2023
Logo

এআইয়ের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতে কাজ করবে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য

এআইয়ের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতে কাজ করবে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পরিধি ও ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সেই সঙ্গে এর নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতের বিষয়টিও বৈশ্বিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। প্রযুক্তি খাতে বিরোধ থাকলেও এআইয়ের ঝুঁকি মোকাবেলায় একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

 

দ্রুত বর্ধমান এআই প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতে বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর অংশগ্রহণে যুক্তরাজ্যে সেফটি সামিট বা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানেই দেশগুলো এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করে। প্রযুক্তি খাতের কিছু নির্বাহী ও রাজনৈতিক ব্যক্তি জানান, এখনই যদি নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তাহলে এআইয়ের বিস্তার ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা এর নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়।

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতে সবাইকে এক করার জন্য পশ্চিমা বিশ্বের এটি প্রথম কোনো উদ্যোগ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাজ্যের অন্যতম একটি স্থান ও কোড-ব্রেকারদের বাড়ি ব্লেচলি পার্কে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে চীনের এক উপমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নেতা ইলোন মাস্ক, স্যাম অল্টম্যানসহ অন্যদের সঙ্গে যোগ দেন।

 

যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইইউসহ উপস্থিত ২৫টির বেশি দেশ ব্লেচলি ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন। যেখানে বলা হয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতে দেশগুলোকে একত্রে কাজ করতে হবে এবং সর্বজনীন নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

 

চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপমন্ত্রী উ ঝাওহুই দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে জানান, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এআইয়ে নিরাপদ ব্যবস্থা নিশ্চিতে নীতিমালা প্রণয়নে দেশটি আগে থেকেই প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘দল-মত নির্বিশেষে সব দেশেরই এআইয়ের উন্নয়ন ও ব্যবহারের অধিকার রয়েছে।’

 

গত বছরের অক্টোবরে এআই-নির্ভর চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি প্রকাশ্যে আনে ওপেনএআই। এর বিকাশে অর্থায়ন করেছে মাইক্রোসফট। এর পরই বিশ্ব অর্থনীতি ও সমাজে এর নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। মানুষের মতো অবিকল কথা বলার সক্ষমতা লাভে প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াজাতের টুল ব্যবহারের সুবিধা শঙ্কা জাগিয়েছে। এআই নিয়ে আশাবাদীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, এসব মেশিন হয়তো সময়ের সঙ্গে মানুষের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে এবং সীমাহীন ও অবাধ বিচরণের মাধ্যম হয়ে উঠবে।

 

বর্তমানে বিভিন্ন দেশের সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা এআইয়ের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতে নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে। তাদের সঙ্গে এআই কোম্পানিগুলোও রয়েছে। যাদের শঙ্কা, নতুন এ প্রযুক্তি সম্ভাবনার চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার আগেই নীতিমালার কারণে পিছিয়ে পড়বে।

 

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ধনকুবের ইলোন মাস্ক বলেন, ‘ন্যায্য বা প্রয়োজনীয় নিয়ম কী হতে পারে সেটি আমি জানি না। তবে এর আগে আমাদের ভেতরের বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে।’ এ প্রযুক্তি থেকে কখনো সমস্যা তৈরি হলে সে বিষয়ে সতর্ক করার জন্য তৃতীয় পক্ষকে দায়িত্ব দেয়ার কথাও জানান তিনি।

 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তথ্যের গোপনীয়তা, নজরদারি ও মানবাধিকারের ওপর এআইয়ের প্রভাব নিয়ে ভাবছে। কিন্তু সম্মেলনে তথাকথিত ফ্রন্টিয়ার এআইয়ের কার্যকর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করছে। গুগল ডিমাইন্ডের সহপ্রতিষ্ঠাতা মুস্তফা সোলায়মান সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে যেসব ফ্রন্টিয়ার এআই মডেল রয়েছে সেগুলো খুব একটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না।

    

 

Comment / Reply From

Stay Connected

Vote / Poll

ঈদযাত্রায় এবছর যানজট অনেকটা কম হবার কারণ কী বলে মনে করেন?

View Results
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথাযথ পদক্ষেপ
0%
যথাসময়ে সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ
100%
যানজট এখনও রয়েই গেছে
0%
21313